ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

এরদোগানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ন্যাটো প্রধান

ইউরোপের মুসলিম রাষ্ট্র তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টোলটেনবার্গ। ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার উত্তেজনা প্রশমনের প্রচেষ্টার জন্য তাকে এই শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে বিদ্যমান এই সংকটের একটি রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করতে তুর্কি প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত উদ্যোগেরও প্রশংসা করেন ন্যাটো প্রধান। সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি খবরটি জানিয়েছে।


টুইটারে দেওয়া পোস্টে জেন্স স্টোলটেনবার্গ বলেছেন, আমি তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি এবং ইউক্রেনকে ঘিরে রাশিয়ার সামরিক তৎপরতা নিয়ে আলোচনা করেছি।


টুইট বার্তায় তিনি বলেন, রাজনৈতিক সমাধান (ইউক্রেন সংকটের) খুঁজে বের করতে সক্রিয় সমর্থন এবং ব্যক্তিগত তৎপরতার জন্য আমি তাকে (এরদোগান) ধন্যবাদ জানাই। ইউক্রেনের প্রতি তুরস্কের জোরাল সমর্থনকে স্বাগত জানাই। ন্যাটো সংলাপের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।


চলতি মাসের গোঁড়ার দিকে ইউক্রেন সফরে যান তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান। রাজধানী কিয়েভে পৌঁছে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন তিনি। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনা প্রশমনে মধ্যস্থতায় তুরস্কের আগ্রহের কথা জানান এরদোগান।


তার মতে, বিদ্যমান সংকট নিরসনে শান্তি আলোচনার আয়োজন করতে আঙ্কারা সবসময়ই প্রস্তুত রয়েছে।


এর আগে এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছিলেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে কখনো যুদ্ধ চায় না তুরস্ক। এটি এই অঞ্চলের জন্য কখনো মঙ্গলজনক কিছু নয়। ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে আমরা এমন কিছু চাই না। আমরা এটা গ্রহণ করব না। আশা করি শান্তিপূর্ণভাবেই চলমান সমস্যার সমাধানে পৌঁছাতে পারব।


বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেন ও রাশিয়া দুই দেশের সঙ্গেই দৃশ্যত তুরস্কের সুসম্পর্ক রয়েছে। যদিও মুসলিম রাষ্ট্র সিরিয়া এবং লিবিয়া ইস্যুতে আঙ্কারার অবস্থান মস্কোর নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ২০১৪ সালে রাশিয়া কর্তৃক ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চল দখলেরও বিরোধী আঙ্কারা।


এ দিকে প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি খাতে মস্কোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে তুরস্কের। অন্য দিকে ইউক্রেনের কাছে অত্যাধুনিক ড্রোন বিক্রি করেছে তুরস্ক। এসব ড্রোন ইউক্রেনের সেনাবাহিনী দেশটির পূর্বাঞ্চলে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। তুর্কি ড্রোন রফতানির ঘটনাটিকে মস্কোকে ক্ষুব্ধ করে তোলে।


এরই মধ্যে গত জানুয়ারিতে এরদোগান দাবি করেন, ইউক্রেনে আক্রমণ করা রাশিয়ার জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। সেক্ষেত্রে ন্যাটো সদস্য হিসেবে যা প্রয়োজন তা-ই করবে তুরস্ক।

ads

Our Facebook Page